দোহা
জয় গণপতি সদ্গুণসদন কবিবর বদন কৃপাল ।
বিঘ্ন হরণ মঙ্গল করণ জয় জয় গিরিজালাল ॥
চতুর্মুখী
জয় জয় জয় গণপতি রাজূ ।
মঙ্গল ভরণ করণ শুভ কাজূ ॥
জয় গজবদন সদন সুখদাতা ।
বিশ্ব বিনায়ক বুদ্ধি বিধাতা ॥
বক্র তুণ্ড শুচি শুণ্ড সুহাবন ।
তিলক ত্রিপুণ্ড ভাল মন ভাবন ॥
রাজিত মণি মুক্তন উর মালা ।
স্বর্ণ মুকুট শির নয়ন বিশালা ॥
পুস্তক পাণি কুঠার ত্রিশূলং ।
মোদক ভোগ সুগন্ধিত ফূলং ॥
সুন্দর পীতাম্বর তন সাজিত ।
চরণ পাদুকা মুনি মন রাজিত ॥
ধনি শিবসুবন ষডানন ভ্রাতা ।
গৌরী ললন বিশ্ব-বিধাতা ॥
ঋদ্ধি সিদ্ধি তব চঁবর সুধারে ।
মূষক বাহন সোহত দ্বারে ॥
কহৌং জন্ম শুভ কথা তুম্হারী ।
অতি শুচি পাবন মঙ্গল কারী ॥
এক সময় গিরিরাজ কুমারী ।
পুত্র হেতু তপ কীন্হা ভারী ॥
ভয়ো যজ্ঞ জব পূর্ণ অনূপা ।
তব পহুঁচ্যো তুম ধরি দ্বিজ রূপা ॥
অতিথি জানি কৈ গৌরী সুখারী ।
বহু বিধি সেবা করী তুম্হারী ॥
অতি প্রসন্ন হ্বৈ তুম বর দীন্হা ।
মাতু পুত্র হিত জো তপ কীন্হা ॥
মিলহি পুত্র তুহি বুদ্ধি বিশালা ।
বিনা গর্ভ ধারণ যহি কালা ॥
গণনায়ক গুণ জ্ঞান নিধানা ।
পূজিত প্রথম রূপ ভগবানা ॥
অস কহি অন্তর্ধ্যান রূপ হ্বৈ ।
পলনা পর বালক স্বরূপ হ্বৈ ॥
বনি শিশু রুদন জবহি তুম ঠানা ।
লখি মুখ সুখ নহিং গৌরি সমানা ॥
সকল মগন সুখ মঙ্গল গাবহিং ।
নভ তে সুরন সুমন বর্ষাবহিং ॥
শম্ভু উমা বহুদান লুটাবহিং ।
সুর মুনি জন সুত দেখন আবহিং ॥
লখি অতি আনন্দ মঙ্গল সাজা ।
দেখন ভী আয়ে শনি রাজা ॥
নিজ অবগুণ গুনি শনি মন মাহীং ।
বালক দেখন চাহত নাহীং ॥
গিরজা কছু মন ভেদ বঢ়ায়ো ।
উৎসব মোর ন শনি তুহি ভায়ো ॥
কহন লগে শনি মন সকুচাঈ ।
কা করিহৌ শিশু মোহি দিখাঈ ॥
নহিং বিশ্বাস উমা কর ভয়ঊ ।
শনি সোং বালক দেখন কহ্যঊ ॥
পড়তহিং শনি দৃগ কোণ প্রকাশা ।
বালক শির ইড়ি গয়ো আকাশা ॥
গিরজা গিরীং বিকল হ্বৈ ধরণী ।
সো দুখ দশা গয়ো নহিং বরণী ॥
হাহাকার মচ্যো কৈলাশা ।
শনি কীন্হ্যোং লখি সুত কো নাশা ॥
তুরত গরুড় চঢ়ি বিষ্ণু সিধায়ে ।
কাটি চক্র সো গজ শির লায়ে ॥
বালক কে ধড় ঊপর ধারয়ো ।
প্রাণ মন্ত্র পঢ় শঙ্কর ডারয়ো ॥
নাম গণেশ শম্ভু তব কীন্হে ।
প্রথম পূজ্য বুদ্ধি নিধি বর দীন্হে ॥
বুদ্ধি পরীক্শা জব শিব কীন্হা ।
পৃথ্বী কী প্রদক্শিণা লীন্হা ॥
চলে ষডানন ভরমি ভুলাঈ ।
রচী বৈঠ তুম বুদ্ধি উপাঈ ॥
চরণ মাতু-পিতু কে ধর লীন্হেং ।
তিনকে সাত প্রদক্শিণ কীন্হেং ॥
ধনি গণেশ কহি শিব হিয় হরষে ।
নভ তে সুরন সুমন বহু বরসে ॥
তুম্হরী মহিমা বুদ্ধি বড়াঈ ।
শেষ সহস মুখ সকৈ ন গাঈ ॥
মৈং মতি হীন মলীন দুখারী ।
করহুঁ কৌন বিধি বিনয় তুম্হারী ॥
ভজত রামসুন্দর প্রভুদাসা ।
লখ প্রয়াগ ককরা দুর্বাসা ॥
অব প্রভু দয়া দীন পর কীজৈ ।
অপনী শক্তি ভক্তি কুছ দীজৈ ॥
দোহা
শ্রী গণেশ যহ চালীসা পাঠ করেং ধর ধ্যান ।
নিত নব মঙ্গল গৃহ বসৈ লহে জগত সন্মান ॥
সম্বৎ অপন সহস্র দশ ঋষি পঞ্চমী দিনেশ ।
পূরণ চালীসা ভয়ো মঙ্গল মূর্তি গণেশ ॥
দোহা
জয় গণপতি সদ্গুণসদন কবিবর বদন কৃপাল
বিঘ্ন হরণ মঙ্গল করণ জয় জয় গিরিজালাল।
এই দোহা বা কাব্যাংশে, গণপতি বা গণেশের প্রশংসা করা হয়েছে, যিনি সৎ গুণের আধার এবং দয়ালু। তিনি কবিদের মুখের থেকে শুভ শব্দ উচ্চারণ করেন এবং সমস্ত বিঘ্ন বা বাধা দূর করেন। গিরিজার (পার্বতী দেবী) পুত্রকে বারবার প্রণাম করা হচ্ছে।
চতুর্মুখী স্তোত্র
জয় জয় জয় গণপতি রাজূ
মঙ্গল ভরণ করণ শুভ কাজূ।
এই স্তোত্রে গণেশের বিভিন্ন গুণ এবং তাদের মহিমা বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে গণপতিকে রাজা বা নেতা হিসেবে প্রণাম করা হয়েছে, যিনি মঙ্গলময় কাজ করেন এবং শুভ দায়িত্ব পালন করেন।
জয় গজবদন সদন সুখদাতা
বিশ্ব বিনায়ক বুদ্ধি বিধাতা।
গণেশের প্রশংসা করা হয়েছে, যিনি হাতির মাথা ধারন করেন এবং সুখের দাতা। তিনি বিশ্বের স্রষ্টা এবং জ্ঞান ও বুদ্ধির দেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
বক্র তুণ্ড শুচি শুণ্ড সুহাবন
তিলক ত্রিপুণ্ড ভাল মন ভাবন।
বক্র তুণ্ড (বাঁকা শুঁড়) এবং সুন্দর তিলক ও ত্রিপুণ্ড ধারণকারী গণেশের গুণাবলী তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর শুচি বা পবিত্র শুঁড় এবং শুভ মনোভাব সবার মনে শান্তি আনে।
রাজিত মণি মুক্তন উর মালা
স্বর্ণ মুকুট শির নয়ন বিশালা।
গণেশের সজ্জা বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে তিনি মুক্তা এবং রত্নের মালা পরিধান করেন, সোনার মুকুটে শোভিত হন, এবং তাঁর বিশাল চোখগুলি উজ্জ্বলতা প্রকাশ করে।
পুস্তক পাণি কুঠার ত্রিশূলং
মোদক ভোগ সুগন্ধিত ফূলং।
গণেশের হাতে বই, কুঠার, এবং ত্রিশূল রয়েছে। তিনি মোদক (মিষ্টি) এবং সুগন্ধিত ফুলে পূজিত হন।
সুন্দর পীতাম্বর তন সাজিত
চরণ পাদুকা মুনি মন রাজিত।
গণেশকে পীতাম্বর (হলুদ বস্ত্র) পরিহিত অবস্থায় বর্ণনা করা হয়েছে। তাঁর পদযুগল মুনি এবং মনীষীদের দ্বারা পূজিত হয়।
ধনি শিবসুবন ষডানন ভ্রাতা
গৌরী ললন বিশ্ব-বিধাতা।
গণেশকে শিবের পুত্র এবং ষডানন (কার্তিক) এর ভাই হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি বিশ্ব সৃষ্টির কর্তৃত্বে প্রতিষ্ঠিত এবং গৌরীর পুত্র।
ঋদ্ধি সিদ্ধি তব চঁবর সুধারে
মূষক বাহন সোহত দ্বারে।
গণেশের ঋদ্ধি ও সিদ্ধি তাঁকে পরিবেশন করে এবং তাঁর মূষক বাহন (ইঁদুর) তাঁর দ্বারে শোভিত।
গণেশের জন্মের কাহিনী
কহৌং জন্ম শুভ কথা তুম্হারী
অতি শুচি পাবন মঙ্গল কারী।
এই স্তোত্রে গণেশের জন্মের শুভ কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, যা অতি পবিত্র এবং মঙ্গলময়।
এক সময় গিরিরাজ কুমারী
পুত্র হেতু তপ কীন্হা ভারী।
গিরিরাজ (হিমালয়) কন্যা পার্বতী পুত্রের আকাঙ্ক্ষায় তপস্যা করেছিলেন।
ভয়ো যজ্ঞ জব পূর্ণ অনূপা
তব পহুঁচ্যো তুম ধরি দ্বিজ রূপা।
যখন যজ্ঞ পূর্ণ হল, গণেশ একজন দ্বিজ (ব্রাহ্মণ) রূপে উপস্থিত হলেন এবং তাঁর কাহিনী শুরু হল।
অতিথি জানি কৈ গৌরী সুখারী
বহু বিধি সেবা করী তুম্হারী।
গণেশকে অতিথি রূপে গৌরী তাঁর তপস্যার ফলস্বরূপ পেয়ে অনেক সেবা করেছিলেন।
গণেশের পূজা এবং মহিমা
গণনায়ক গুণ জ্ঞান নিধানা
পূজিত প্রথম রূপ ভগবানা।
গণেশকে প্রথম পূজিত দেবতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি গুণ ও জ্ঞানের নিধি।
তুম্হরী মহিমা বুদ্ধি বড়াঈ
শেষ সহস মুখ সকৈ ন গাঈ।
গণেশের মহিমা এত বিশাল যে, শেশনাগও হাজার মুখ দিয়ে তা বর্ণনা করতে পারেন না।
দোহা
শ্রী গণেশ যহ চালীসা পাঠ করেং ধর ধ্যান
নিত নব মঙ্গল গৃহ বসৈ লহে জগত সন্মান।
গণেশ চালীসা পাঠ করলে জীবন নব মঙ্গলে পূর্ণ হয়, এবং ঘরে সুখ ও সম্মান আসে।
উপসংহার
গণেশ চালীসার শেষে এই দোহায় বলা হয়েছে যে, এই চালীসা পাঠ করলে জীবনে মঙ্গল ও সাফল্য আসে।